পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আলা হযরত শাহ ইমাম আহমদ রেজা খান ফাযিল বেরলভী রহিমাহুল্লাহ'র উপর ব্রিটিশ দালাল হওয়ার অপবাদের খন্ডন:

ছবি
  আলা হযরত শাহ ইমাম আহমদ রেজা খান ফাযিল মুহাদ্দিসে ব্রেরেলভী কুদ্দাস আল্লাহ সিররাহু ও তিনার উপর ব্রিটিশ দালাল হওয়ার অপবাদের খন্ডন  আলা হযরত ইমাম মাওলানা আহমদ রেজা খানের দাদা , মাওলানা রেজা আলী খান (আলাইহির রাহমাহ) ছিলেন একজন মহান যোদ্ধা। তিনি ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজ দখলদারদের বিরুদ্ধে জেনারেল বখত খানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে জমাদিউল আওয়াল মাসে ইন্তেকাল করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্রিটিশ সরকার তাঁর মাথার ওপর ৫০০ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। ১৮৫৭ সালের যুদ্ধের পর তিনি গোপনে জীবনযাপন করতেন। ব্রিটিশ বিরুদ্ধী আন্দোলনে আলা হযরত এর পিতা ( নকী আলী খান) এর ভূমিকা মুহাম্মদ হানিফ খান রিজভী বেরলভী নকী আলী খান (রহঃ)-এর একটি গ্রন্থের ভূমিকায় লেখেন— “তিনি ব্রিটিশ শাসনকে ঘৃণা করতেন এবং আজীবন ইংরেজদের বিরোধিতা করে গেছেন। ব্রিটিশ শাসন উপড়ে ফেলতে তিনি নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন এবং কলমের মাধ্যমে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে লেখনীকে কাজে লাগিয়েছেন। এই বিষয়ে চাঁদা শাহ হুসাইনি লেখেন: 'মাওলানা রেজা আলী খান তাঁর জিহাদি বক্তৃতা ও লেখনীর জন্য ব্রিটিশদের মধ্যে ...

ইমাম গাজ্জালী রহিমাহুল্লার দৃষ্টিতে একজন পীরের শর্তাবলী:

ছবি
 বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পীরের ছড়াছড়ি কম নয়। তাদের মধ্যে হক্বপন্থি যেমন রয়েছে তেমনি ভণ্ড,প্রতারক,ব্যবসায়ী পীরও রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ভিন্ন ঘরণার ভাইদের সাথে পীর নিয়ে আলাপ তুললেই এক প্রকার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এটা তাদের নিতান্তই জাহালতা এবং গোঁড়ামী।অথচ শরিয়তের মানদণ্ডে শায়খ কিংবা পীর হওয়া বাস্তবসম্মত এবং প্রয়োজনও বটে। আজকে আমরা জানব ইমাম গাজ্জালী রহিমাহুল্লার দৃষ্টিতে একজন পীরের শর্তাবলী। 📍তিনি বলেন: "শায়খ যে কেউ হতে পারে না। তার জন্যে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করতে হয়। একজন শায়খকে অবশ্যই রাসূল ﷺ এর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাঁকে অবশ্যই আলেম হতে হবে। তবে সব আলেমই যে শায়খ হতে পারবেন, ব্যাপারটি এমন নয়। আমি তোমাকে একজন কামেল শায়খের পরিচয় সংক্ষেপে জানিয়ে দিচ্ছি; যেন যে কেউ এসে মুরশিদ হওয়ার দাবি করতে না পারে। একজন শায়খের পরিচয় হলো- ╭⁠☞১. তাকে অবশ্যই দুনিয়া ও মান-সম্মানের লোভ থেকে বিমুখ হতে হবে। ╭⁠☞২. তাকে এমন কোনো প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যক্তিত্বের অনুসারী হতে হবে, যিনি তৃতীয় কোনো প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যক্তিত্বের অনুসারী । এভাবে তাদের অনুসরণের ধারাবাহিক...

তরিকতের রোযা কি ও কিরকম?

ছবি
  তরিকতের রোযা বলেও একটা কথা আছে। কি অবাক হচ্ছেন! আসলেই আছে…। তো তা কিরকম? পানাহার ও স্ত্রী… থেকে বিরত থাকাই রোজা। তাই তো… হ্যাঁ তবে এটি শারীরিক রোজা। 📌তরিকতের রোজা হলো মিথ্যা কথা, গীবত করা, অশ্লীলতা, গালিগালাজ,বেগানা নারী-পুরুষ পরস্পর কথা বলা, অহমিকা, অহংকার, কৃপনতা, যাবতীয় প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ইত্যাদি ফাহেশা কাজ থেকে বিরত থাকা। 📌রোজার মুখ্য উদ্দেশ্য মূলত এটাই। এজন্যই রাসূল ﷺ বলেন… رب صائم ليس له من صيامه الا الجوع والعطش- অর্থাৎ,এমন অনেক রোজাদার আছে যাদের রোজা পালন দ্বারা শুধু ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ব্যতীত কিছুই অর্জিত হয় না।  (সুনানু ইবনে মাজাহ-হা:-১৬৯০) 📌 শরিয়তের রোজায় নির্দিষ্ট সময় থাকে কিন্তু তরিকতের রোজা সারাবছরেই থাকতে হয়। তাই আমাদের উচিত অন্তত রমজান মাসে হলেও তরিকতের রোজায় নিজেকে আবদ্ধ করা… ✍️ #jihad_mahmud        03.03.2025

ইসলামের শরয়ী বিধান শিক্ষাদান ও প্রচার-প্রসারে মা আয়েশা সিদ্দীকার অবদান।

ইসলামী শরীয়তের বিধানসমূহের পূর্ণাঙ্গতা আনয়ন ও অলংকার সমৃদ্ধ করার জন্য রাসূল ﷺ এর সঙ্গে এমন একজন সহধর্মিনী আবশ্যকীয় ছিলেন যিনি হবেন মেধাবী,বিচক্ষণ, বিজ্ঞ ও মুত্তাকী। উপরন্তু নূর নবিজী ﷺ এর ইন্তেকালের পরেও দীর্ঘদিন হায়াত পায় এমন সাধবী মহীয়সী রমণী।  আল্লাহ পাক ইসলামের এই প্রয়োজনীয়তাকে পরিপূর্ণ করলেন উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহা কে দিয়ে। সুতরাং নুর নবীজি ﷺ এর সাথে মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহা এর এই বরকতময় বিবাহটা ছিলেন ইসলামী শরীয়তের জন্য সোনায় সোহাগা । ইহা সত্ত্বেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোট 11 টি বিবাহ করেছিলেন। যাহা অন্য কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় ।রাসূল ﷺ এর এই অনেক বিবাহের বৈধতা প্রমাণ করে যে তিনি আমাদের মত মানুষ নন। তাছাড়াও নুর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বহুবিবাহ ইসলামের জন্য সীমাহীন উপকার সাধিত হয়েছিল। যা এখানে উল্লেখ করলাম না।  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সঙ্গে মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বিবাহ হওয়ার কারণে এবং বিবাহকালীন মা আয়েশা সিদ্দিকা র...

শিয়াবাদের মুখোশ উন্মোচন -(১)

ছবি
শিয়াবাদের মুখোশ উন্মোচন:(১) ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যুদ্ধ করায় এখন কেউ কেউ তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে খোমেনিকে নিয়ে যারপরনাই প্রশংসাগীতি করা হচ্ছে।  আমি বলছিনা, ইরানের বিপক্ষ নিতে। ইসরাইলের মত জালেমদের শায়েস্তা করতে ইরানের মত সাহসীদের দরকার আছে। তবে মনে রাখতে হবে উভয়ই কিন্তু মুসলমানদের শত্রু। এখন আপনি খোমেনির প্রশংসা করতেছেন,আল্লাহ না করুক কেউ যদি তাদের দিকে প্রভাবিত হয়ে তাদের মত গ্রহণ করে নেয়, তখন এর দায়ভার কে নিবে! শিয়ারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত। তাদের আকিদার মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।  ✿ আমি তাদের প্রত্যেক দলের বিদ্যমান থাকা কিছু সাধারণ আকিদা তুলে ধরছি।_ (১) যুগে যুগে নবি প্রেরণ করা আল্লাহ তা'আলার জন্য আবশ্যক; (২) হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)-সহ সাতজন উঁচু স্তরের আম্বিয়া ব্যতীত অন্যান্য নবিদের চাইতে হযরত আলি রা: এর মর্যাদা বেশি;  (৩) তারা হযরত আলি (রা:)-কে খুলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম তিনজন সাহাবির চাইতে অধিক মর্যাদা প্রদান করে;  (৪) তাদের দাবিমতে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পর খেলাফতের হকদার হলেন একমাত্র হযরত আলি রা:। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে উম্মতের মওলা ঘোষণা দেওয়ার...

-কানযুল ইমানের বদৌলতে ইমান নসীব-

ছবি
-কানযুল ইমানের বদৌলতে ইমান নসীব- সায়্যিদুনা আ'লা হযরত ইমাম আহমাদ রিদ্বা রহিমাহুল্লাহ'র বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরের কিতাব "কানযুল ঈমান ফি তারজুমাতিল কুরআন" (کنزالایمان فی ترجمۃ القرآن) ১৯৭৪ খ্রী সনে ইংরেজীতে অনুবাদ করেছিলেন লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৎকালীন একজন অধ্যাপক, প্রফেসর ড. হানীফ আখতার ফাত্বিমী।এটি পরবর্তীতে লাহোর ও ইংল্যান্ড হতে প্রকাশিত হয়।  ১৯৮০ খ্রি. সনে তিনি পাকিস্তান আগমন করলে তাঁর সাক্ষাত হয় মাহিরে রযভিয়্যাত, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাস'উদ আহমাদ নক্শবন্দী মুজাদ্দেদী (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) এঁর সাথে। সে সাক্ষাতে তিনি মাহিরে রযভিয়্যাতকে জানান_ যখন তিনি তারজুমা সম্পন্ন করেন, তখন একজন খ্রিস্টান ব্যক্তির সাথে তাঁর দেখা হয়। ঐ ব্যক্তি জানান যে_ "তিনি ইসলামকে নিয়ে গবেষণা করছেন, কুরআনের অনেকগুলো তারজুমা তিনি পড়েছেন কিন্তু কোনোটিতেই তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি"। তখন প্রফেসর সাহেব তাকে নিজের তারজুমার (অর্থাৎ কানযুল ইমানের) পান্ডুলিপি দেন।  ঐ খ্রিস্টান ব্যক্তি পরবর্তীতে ঐ তারজুমা পড়ে এতোটাই মুগ্ধ হন, যার ফলে তিনি ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। ¹ মহান আ...

ইমাম আহমাদ রেযা'র মসলকপন্থী মাদরাসাসমূহ:

ছবি
  ইমাম আহমাদ রেযা'র মসলকপন্থী মাদরাসাসমূহ: প্রথমেই আন্‌জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট-এর অধীনে থাকা মাদরাসাসমূহের আলোচনায় আসছি- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা (jasa.edu.bd) বাংলাদেশে মসলকে আ'লা হযরতের সূতিকাগার বলা হয় এটিকে। ১৯৫৪ খ্রি. সনে পাকিস্তান হতে এই দেশে আগত আওলাদে রাসূল (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম), কুতুবুল আউলিয়া, আল্লামা হাফেয ক্বারী সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) কর্তৃক বর্তমান চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মাদরাসাটি ছাড়া আন্‌জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট-এর অধীনে থাকা অন্যান্য অর্ধশতাধিক মাদরাসার মধ্যে রয়েছে- * এলাহাবাদ আহমদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম। প্রতিষ্ঠাতা: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) * দারুল ইসলাম ফাযিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) * কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা ।মোহাম্মদপুর, ঢাকা । (quaderiamadrasah.org),  প্রতিষ্ঠাতা: গাউসুল...

মাসলাকে আ'লা হযরতের বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান:

ছবি
মাসলাকে আ'লা হযরতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান: _______________________________ ভূমিকা: ইসলামের সঠিক রূপরেখা আকিদায়ে আহলে সুন্নাতের চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ সায়্যিদুনা ইমামে আহলে সুন্নাত,আ'লা হযরত আহমদ রিদ্বা খাঁন রহিমাহুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশে যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন তা আজ বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গিয়ে সূর্যের মত জ্বলজ্বল করছে। বাতিল শক্তির মোকাবেলায় তিনি যে সংগ্রাম করে গেছেন তা আজ বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজও চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছে। নিম্নে শুধুমাত্র বাংলাদেশে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হবে।_ ১.আ'লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ: এটি ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর এই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আলা হযরত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এবং তাতে আল মুখতার নামে একটি স্বারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ২.রেযা ইসলামিক একাডেমী: এটি চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে তৈয়বিয়া মার্কেট চাঁদগাওয়ে অবস্থিত। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে সনে এটি প্রতিষ্ঠা...

সালাম দেওয়ার সঠিক এবং অশুদ্ধ বাক্য:

ছবি
 সালা   ম দেওয়ার বদলে লানত/বাঁশ দিচ্ছেন না তো! কিছু আধুনিক ভাইয়েরা Moderated হতে গিয়ে এভাবে সালাম দেয় যে_ ✿ সা-মু- আলাইকুম- (سام عليكم) ✿ আস-সা-মু আলাইকুম- (السام عليكم) আরবিতে 'সাম' অর্থ: মৃত্যু বা বাঁশ। (কমেন্টে) তো এখন তার সালামের বাংলা করলে হয়_ "আপনার মৃত্যু হোক" বা  "আপনাকে আল্লাহ বাঁশ দিক"। নাউজুবিল্লাহ। একটু ভেবে দেখুন তো, সে সালামের নামে আপনাকে বাঁশ দিয়ে মশকারি করতেছে আর আপনি কিন্তু বোকার মত শুদ্ধ করে সালামের জবাব দিচ্ছেন "ওয়ালাইকুমুস সালাম"। আজ থেকে যারা আপনাকে এইরকম সালাম দিবে তাদেরকে জবাব দিবেন_ ✿"ওয়ালাইকা"- (وعليك) ✿"ওয়ালাইকাস সাম"- (وعليك السام) তবে যথাসম্ভব শোধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ✿ সালামের কয়েকটি শুদ্ধ নিয়ম: ১."আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ" ২."আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি     ওয়া বারাকাতুহু" ৩."সালামুন আলাইকুম" ৪."সালামুন আলাইকা" ৫."আসসালামু আলাইকুম" ৬."আসসালামু আলাইকা" একটি হাদিস শরীফ লক্ষ্য করুন _ রাসূল ﷺ বলেন_ যখন কোনো ইয...

মাংস বলা নিয়ে একটি সন্দেহের অবসান:

  একটি ভুল নিরসন: কেউ কেউ বলেন যে, মাংস বলা যাবেনা। বলতে হবে গোশত। কেননা তা হিন্দুদের দেবী মায়ের অংশের সাথে সাদৃশ্য রাখে। উত্তর:  মাংস বা গোশত উভয়েই বলা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তাদের যুক্তি হলো: এটি মায়ের অংশ। যাকে সংক্ষেপ করে মাংস করা হয়েছে। আমি বলি:  যদি মায়ের অংশ হয় তবে তো এভাবে লিখা উচিত, মায়ের + অংশ = মাংশ। কিন্তু আমরা গোশতের বেলায় লিখি "মাংস"। সুতরাং, তাঁদের ঐ মাংশ এবং আমাদের এই গোশতের মধ্যে ব্যবধান আছে। কিন্তু আমাদের মাংস এবং গোশতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে যদি বেশি কনফিউজড হয়ে যান,গোশতই বলেন। No problem… #𝕛𝕚𝕙𝕒𝕕_𝕞𝕒𝕙𝕞𝕦𝕕 লিখকের ফেসবুক একাউন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন। লিখকের ফেসবুলিখকের ফেসবুক একাউন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

প্রসঙ্গ: আল্লাহর রাসূল ﷺ সামনে যেভাবে দেখতেন পিছনেও তেমনি দেখতেন।

ছবি
রাসুল ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা মানব হিসেবে যদিও প্রেরণ করেছেন তবুও তিনাকে এমন কতিপয় বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা প্রদান করেছেন যা অন্যান্য মানব থেকে আলাদা মর্যাদার অধিকারী বানিয়ে দিয়েছে। তেমনিভাবে, প্রত্যেক নবীকে যেমন দিয়েছেন মুজি'যা তেমনি প্রিয় নবীজিকেও দিয়েছেন অসংখ্য মুজিযা যা অন্যান্য নবিদের পর্যন্ত প্রদান করেননি।  সেহেতু ওনার একটি মুজিযা ছিল, "প্রিয় নবীজির সামনের এবং পিছনের দিক অবলোকন করা"। হাদীস শরীফে এসেছে_ রাসূল ﷺ বলেন: والله إني لأرى من خلفي كما أرى من بين يدي- অর্থাৎ "আল্লাহর শপথ নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনের দিকেও দেখি যেভাবে আমার সামনের দিকে দেখি"। (মুসনাদে আহমদ,হা-৯৭৯৬, সহিহ ইবনে খুজায়মা,হা-৬৬৪, মিশকাত,হা-৮৮১, মুস্তাদরাকে হাকেম,হা-৮৬১, জামেউল আহাদীস,হা-২৬২৩৫, কানযুল উম্মাল,হা-২০১০২) হাদিসের মান: সহিহ। ✿আহলে হাদিসদের (ওয়াহাবী-নজদীদের) শায়খ আলবানীও এটাকে শুদ্ধ বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আর তিনি বলেন_ "এটা রাসুল এর মর্যাদা এবং তার মু'জিযা"। (তাহকীকাতু মিশকাত:১/২৫৫) ✿দেওবন্দী শায়খ আল্লামা আশরাফ আলী থানবী সাহেব তার কিতাবের মধ্যে রাসূল ﷺ এর বৈশি...