ইমাম গাজ্জালী রহিমাহুল্লার দৃষ্টিতে একজন পীরের শর্তাবলী:
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পীরের ছড়াছড়ি কম নয়। তাদের মধ্যে হক্বপন্থি যেমন রয়েছে তেমনি ভণ্ড,প্রতারক,ব্যবসায়ী পীরও রয়েছে।
এক্ষেত্রে আমাদের ভিন্ন ঘরণার ভাইদের সাথে পীর নিয়ে আলাপ তুললেই এক প্রকার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এটা তাদের নিতান্তই জাহালতা এবং গোঁড়ামী।অথচ শরিয়তের মানদণ্ডে শায়খ কিংবা পীর হওয়া বাস্তবসম্মত এবং প্রয়োজনও বটে।
আজকে আমরা জানব ইমাম গাজ্জালী রহিমাহুল্লার দৃষ্টিতে একজন পীরের শর্তাবলী।
📍তিনি বলেন:
"শায়খ যে কেউ হতে পারে না। তার জন্যে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করতে হয়। একজন শায়খকে অবশ্যই রাসূল ﷺ এর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাঁকে অবশ্যই আলেম হতে হবে। তবে সব আলেমই যে শায়খ হতে পারবেন, ব্যাপারটি এমন নয়। আমি তোমাকে একজন কামেল শায়খের পরিচয় সংক্ষেপে জানিয়ে দিচ্ছি; যেন যে কেউ এসে মুরশিদ হওয়ার দাবি করতে না পারে। একজন শায়খের পরিচয় হলো-
╭☞১. তাকে অবশ্যই দুনিয়া ও মান-সম্মানের লোভ থেকে বিমুখ হতে হবে।
╭☞২. তাকে এমন কোনো প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যক্তিত্বের অনুসারী হতে হবে, যিনি তৃতীয় কোনো প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যক্তিত্বের অনুসারী। এভাবে তাদের অনুসরণের ধারাবাহিকতা নবীকূল সর্দার হযরত মুহাম্মাদ মুসতফা ﷺ পর্যন্ত পৌঁছুবে।
╭☞৩. তাকে অবশ্যই খাওয়া, কথা ও ঘুমের স্বল্পতা আর নামায, দান ও রোযার আধিক্যের মাধ্যমে প্রবৃত্তি দমন করার সাধনা সূচারুরূপে সম্পন্নকারী হতে হবে।
╭☞৪. তাকে অবশ্যই সেই প্রজ্ঞাদীপ্ত শায়খের আনুগত্যের মাধ্যমে উন্নত চারিত্রিক শিষ্টাচারগুলোকে নিজের প্রাত্যহিক জীবনের অনুষঙ্গ বানিয়ে নিতে হবে। উন্নত চারিত্রিক শিষ্টাচারের অর্থ হলো, তাঁর মাঝে ধৈর্য্য, নামায, শোকর, আল্লাহনির্ভরতা, দৃঢ় ঈমান, অল্পেতুষ্টি, আত্মিক প্রশান্তি, দূরদর্শিতা, বিনয়, গভীর জ্ঞান, সততা, শালীনতা, অঙ্গিকার পূরণ, গাম্ভীর্য্য, সুস্থিরতা ও এ জাতীয় অন্যান্য মহৎ গুণাবলীর সন্নিবেশ থাকতে হবে"।¹
এটা হচ্ছে পীর চেনার মাপকাঠি।
এবার আপনারাই মিলিয়ে নিবেন কোন পীর নেক সুরতে ভণ্ডামি করে ধোঁকা দিচ্ছে আর কোন পীর রাসূলের মিশনকে ত্বরান্বিত করছে।
_______________________________
📚¹ إمام أبو حامد الغزالي رحمه الله - يا أيها
الولد- ص.-٦٠،٦١
মাআস সালাম,
#jihad_mahmud
লিখকের ফেসবুক একাউন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন