শিয়াবাদের মুখোশ উন্মোচন -(১)
![]() |
শিয়াবাদের মুখোশ উন্মোচন:(১) |
ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যুদ্ধ করায় এখন কেউ কেউ তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে খোমেনিকে নিয়ে যারপরনাই প্রশংসাগীতি করা হচ্ছে।
আমি বলছিনা, ইরানের বিপক্ষ নিতে। ইসরাইলের মত জালেমদের শায়েস্তা করতে ইরানের মত সাহসীদের দরকার আছে।
তবে মনে রাখতে হবে উভয়ই কিন্তু মুসলমানদের শত্রু।
এখন আপনি খোমেনির প্রশংসা করতেছেন,আল্লাহ না করুক কেউ যদি তাদের দিকে প্রভাবিত হয়ে তাদের মত গ্রহণ করে নেয়, তখন এর দায়ভার কে নিবে!
শিয়ারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত। তাদের আকিদার মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
✿ আমি তাদের প্রত্যেক দলের বিদ্যমান থাকা কিছু সাধারণ আকিদা তুলে ধরছি।_
(১) যুগে যুগে নবি প্রেরণ করা আল্লাহ তা'আলার জন্য আবশ্যক;
(২) হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)-সহ সাতজন উঁচু স্তরের আম্বিয়া ব্যতীত অন্যান্য নবিদের চাইতে হযরত আলি রা: এর মর্যাদা বেশি;
(৩) তারা হযরত আলি (রা:)-কে খুলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম তিনজন সাহাবির চাইতে অধিক মর্যাদা প্রদান করে;
(৪) তাদের দাবিমতে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পর খেলাফতের হকদার হলেন একমাত্র হযরত আলি রা:। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে উম্মতের মওলা ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে এই পদে আসীন করেছেন;
(৫) নবিগণের পক্ষে কোনো কোনো সময় মিথ্যা বলা, কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া জায়েজ, বরং ওয়াজিব হয়ে পড়ে; (৬) কোনো কোনো নবি থেকে গুনাহ প্রকাশ পেয়েছে,যেমন: হযরত আদম, হযরত ইবরাহিম, হযরত ইউনুস, হযরত মূসা (আলাইহিমুস সালাম এর);
(৭) হযরত আলি রা: এর শারীরিক গঠন ছিলো রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুরূপ,তাই জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ভুল করে হযরত আলির বদলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট রিসালতের বাণী নিয়ে এসেছিলেন; (৮) কিছু কিছু শিয়া উপদল আবার রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর অনন্য মুজিযা "মেরাজ" অস্বীকার করে থাকে;
(৯) তারা সাহাবায়ে কেরামের অনেককেই গালমন্দ করে থাকে; বিশেষ করে কাতিবে ওহি, হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রা: কে বেশি গালি দিয়ে থাকে তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে ইনসানিয়াত বিপ্লবের ব্যানারে কাজ করে শিয়াবাদ চর্চা করতেছে। এমনকি মাইজভান্ডারের একাংশ এখন শিয়াবাদ লালন করতেছে।
✿ শিয়াদের কিছু নোংরা কীর্তি:_
১. এরা মক্কা শরীফের খানায়ে কাবার হাজরে আসওয়াদকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ৩৫ বৎসর পর্যন্ত তাদের নিকট রাখে। সংক্রামক ব্যাধিতে এদের অসংখ্য লোক মারা যেতে থাকে। ভয়ে ভীত হয়ে এরা হাজরে আস্তয়াদ ফেরত দেয়- দ্বিখন্ডিত অবস্থায়।
২.এরা ভারতবর্ষের মুলতান থেকে সিন্ধু পর্যন্ত এককালে (সুলতান মাহমুদের পূর্বে) রাজত্ব করেছিল। এদের ফিত্নার জের হিসাবে এখনও আগাখানী ইসমাইলিয়া শিয়ারা ফিত্না সৃষ্টি করে চলছে। এরা খুবই হিংস্র।
৩.এরা শরীয়তের কোন বিধি নিষেধকেই স্বীকার করে না। বরং যারা শরীয়তের বিধি বিধান মেনে চলে, তাদেরকে কতল করা ওয়াজিব বলে। এ কারণেই তারা মক্কার হাজীদেরকে কতল করতো এবং কারামতিদের যোগসাজশে হাজরে আসওয়াদ অপহরণ করে নিজ দেশে (ইরানে) নিয়ে গিয়েছিল।
৪.এদের প্রভাবেই মোঘল সম্রাট আকবর "দ্বীনে ইলাহী" প্রবর্তন করেন এবং নিজেকে ইমামে আদিল (ন্যায়বিচারক ইমাম) বলে দাবী করে শরীয়তের বিধি বিধানে পরিবর্তন আনয়ন করেন। উল্লেখ্য, আকবরের মাতা হামিদা বানু ছিলেন শিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী বৈরাম খাঁও ছিলেন শিয়া।
"দ্বীনে ইলাহী" শিয়াদের প্রভাবেই প্রবর্তিত হয়। এ কারণেই হযরত মোজাদ্দেদ আলফে সানী (রঃ) আজীবন এই শিয়াদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং মাকতুবাত শরীফে শিয়া সম্প্রদায়ের আক্বীদা সম্পর্কে তাঁর খলিফাদের সতর্ক করেছেন।
৫.কুররিয়া শিয়াদের মতে- "মহিলাদের যৌন স্বাধীনতা বৈধ এবং শরিয়তের বিধি বিধানকে সে রহিত বলে ঘোষণা করে"। (বাংলাদেশের কুখ্যাত নারী তসলিমা নাসরীনও নারীর যৌন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী)। এই ভন্ড দলের মতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যুগ খতম হয়ে গিয়েছে। নামায হলো বিশেষ যুগের সাথে সম্পৃক্ত। (নাউযুবিল্লাহ্)।(বর্তমানে গোলাম মইনুদ্দিন হিয়াজুড়িও এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী) এদের মতে ওহীর দরজা বন্ধ হয়নি। এখনও কামিল ব্যক্তিদের নিকট না কি ওহী আসে। তবে- তা শরীয়তমূলক নয়- বরং শিক্ষামূলক (তাশরিয়ী নয়- তা'লিমী)। এই দলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ শাহ্ নাসির উদ্দিনের রাজত্ব কালে বিদ্রোহ করে এবং সদলবলে নিহত হয়। তার কিছু ভক্ত তেহরান ও ইরাকে পরিদৃষ্ট হয়।
✿ ইতিহাস পড়ে আমরা জানতে পারি, ক্রুসেডাররা যখন শাম ও ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালিয়েছিল, তখন ছিল শিয়াদের জয়জয়কার; মিশর ছিল উবাইদিয়া সাম্রাজ্যের অধীনে। নিজেদের এমন দুরবস্থায়ও কিন্তু তৎকালীন মুসলিম উম্মাহ কোনো শিয়া নেতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেনি; যদিও তারা তখন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি-সবকিছুতেই চরম উৎকর্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। বরং সুন্নী মুসলিম সেনানীরাই সাহসিকতা ও শৌর্যবীর্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন; তাদের মাঝেই জন্ম নিয়েছেন নুরূদ্দীন জিনকী, নুরুদ্দীন মাহমুদ এবং সালাহুদ্দীন আইয়ূবীর মতো মহান সিপাহসালারগণ।
সর্বোপরি,আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আমাদেরকে শিয়া-ইসরাইল উভয়ের ধ্বংস দেখায় এবং কোনো সুন্নি নেতার হাত ধরে বিশ্বে নেতৃত্ব দান করান। আমিন বিহুরমতে সায়্যিদীল মুরসালিন ﷺ।
মাআস সালাম-
জিহাদ মাহমুদ।
#jihad_mahmud
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন