পোস্টগুলি

-কানযুল ইমানের বদৌলতে ইমান নসীব-

ছবি
-কানযুল ইমানের বদৌলতে ইমান নসীব- সায়্যিদুনা আ'লা হযরত ইমাম আহমাদ রিদ্বা রহিমাহুল্লাহ'র বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরের কিতাব "কানযুল ঈমান ফি তারজুমাতিল কুরআন" (کنزالایمان فی ترجمۃ القرآن) ১৯৭৪ খ্রী সনে ইংরেজীতে অনুবাদ করেছিলেন লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৎকালীন একজন অধ্যাপক, প্রফেসর ড. হানীফ আখতার ফাত্বিমী।এটি পরবর্তীতে লাহোর ও ইংল্যান্ড হতে প্রকাশিত হয়।  ১৯৮০ খ্রি. সনে তিনি পাকিস্তান আগমন করলে তাঁর সাক্ষাত হয় মাহিরে রযভিয়্যাত, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাস'উদ আহমাদ নক্শবন্দী মুজাদ্দেদী (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) এঁর সাথে। সে সাক্ষাতে তিনি মাহিরে রযভিয়্যাতকে জানান_ যখন তিনি তারজুমা সম্পন্ন করেন, তখন একজন খ্রিস্টান ব্যক্তির সাথে তাঁর দেখা হয়। ঐ ব্যক্তি জানান যে_ "তিনি ইসলামকে নিয়ে গবেষণা করছেন, কুরআনের অনেকগুলো তারজুমা তিনি পড়েছেন কিন্তু কোনোটিতেই তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি"। তখন প্রফেসর সাহেব তাকে নিজের তারজুমার (অর্থাৎ কানযুল ইমানের) পান্ডুলিপি দেন।  ঐ খ্রিস্টান ব্যক্তি পরবর্তীতে ঐ তারজুমা পড়ে এতোটাই মুগ্ধ হন, যার ফলে তিনি ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। ¹ মহান আ...

ইমাম আহমাদ রেযা'র মসলকপন্থী মাদরাসাসমূহ:

ছবি
  ইমাম আহমাদ রেযা'র মসলকপন্থী মাদরাসাসমূহ: প্রথমেই আন্‌জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট-এর অধীনে থাকা মাদরাসাসমূহের আলোচনায় আসছি- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা (jasa.edu.bd) বাংলাদেশে মসলকে আ'লা হযরতের সূতিকাগার বলা হয় এটিকে। ১৯৫৪ খ্রি. সনে পাকিস্তান হতে এই দেশে আগত আওলাদে রাসূল (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম), কুতুবুল আউলিয়া, আল্লামা হাফেয ক্বারী সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) কর্তৃক বর্তমান চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মাদরাসাটি ছাড়া আন্‌জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট-এর অধীনে থাকা অন্যান্য অর্ধশতাধিক মাদরাসার মধ্যে রয়েছে- * এলাহাবাদ আহমদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম। প্রতিষ্ঠাতা: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) * দারুল ইসলাম ফাযিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) * কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা ।মোহাম্মদপুর, ঢাকা । (quaderiamadrasah.org),  প্রতিষ্ঠাতা: গাউসুল...

মাসলাকে আ'লা হযরতের বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান:

ছবি
মাসলাকে আ'লা হযরতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান: _______________________________ ভূমিকা: ইসলামের সঠিক রূপরেখা আকিদায়ে আহলে সুন্নাতের চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ সায়্যিদুনা ইমামে আহলে সুন্নাত,আ'লা হযরত আহমদ রিদ্বা খাঁন রহিমাহুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশে যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন তা আজ বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গিয়ে সূর্যের মত জ্বলজ্বল করছে। বাতিল শক্তির মোকাবেলায় তিনি যে সংগ্রাম করে গেছেন তা আজ বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজও চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছে। নিম্নে শুধুমাত্র বাংলাদেশে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হবে।_ ১.আ'লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ: এটি ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর এই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আলা হযরত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এবং তাতে আল মুখতার নামে একটি স্বারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ২.রেযা ইসলামিক একাডেমী: এটি চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে তৈয়বিয়া মার্কেট চাঁদগাওয়ে অবস্থিত। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে সনে এটি প্রতিষ্ঠা...

সালাম দেওয়ার সঠিক এবং অশুদ্ধ বাক্য:

ছবি
 সালা   ম দেওয়ার বদলে লানত/বাঁশ দিচ্ছেন না তো! কিছু আধুনিক ভাইয়েরা Moderated হতে গিয়ে এভাবে সালাম দেয় যে_ ✿ সা-মু- আলাইকুম- (سام عليكم) ✿ আস-সা-মু আলাইকুম- (السام عليكم) আরবিতে 'সাম' অর্থ: মৃত্যু বা বাঁশ। (কমেন্টে) তো এখন তার সালামের বাংলা করলে হয়_ "আপনার মৃত্যু হোক" বা  "আপনাকে আল্লাহ বাঁশ দিক"। নাউজুবিল্লাহ। একটু ভেবে দেখুন তো, সে সালামের নামে আপনাকে বাঁশ দিয়ে মশকারি করতেছে আর আপনি কিন্তু বোকার মত শুদ্ধ করে সালামের জবাব দিচ্ছেন "ওয়ালাইকুমুস সালাম"। আজ থেকে যারা আপনাকে এইরকম সালাম দিবে তাদেরকে জবাব দিবেন_ ✿"ওয়ালাইকা"- (وعليك) ✿"ওয়ালাইকাস সাম"- (وعليك السام) তবে যথাসম্ভব শোধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ✿ সালামের কয়েকটি শুদ্ধ নিয়ম: ১."আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ" ২."আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি     ওয়া বারাকাতুহু" ৩."সালামুন আলাইকুম" ৪."সালামুন আলাইকা" ৫."আসসালামু আলাইকুম" ৬."আসসালামু আলাইকা" একটি হাদিস শরীফ লক্ষ্য করুন _ রাসূল ﷺ বলেন_ যখন কোনো ইয...

মাংস বলা নিয়ে একটি সন্দেহের অবসান:

  একটি ভুল নিরসন: কেউ কেউ বলেন যে, মাংস বলা যাবেনা। বলতে হবে গোশত। কেননা তা হিন্দুদের দেবী মায়ের অংশের সাথে সাদৃশ্য রাখে। উত্তর:  মাংস বা গোশত উভয়েই বলা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তাদের যুক্তি হলো: এটি মায়ের অংশ। যাকে সংক্ষেপ করে মাংস করা হয়েছে। আমি বলি:  যদি মায়ের অংশ হয় তবে তো এভাবে লিখা উচিত, মায়ের + অংশ = মাংশ। কিন্তু আমরা গোশতের বেলায় লিখি "মাংস"। সুতরাং, তাঁদের ঐ মাংশ এবং আমাদের এই গোশতের মধ্যে ব্যবধান আছে। কিন্তু আমাদের মাংস এবং গোশতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে যদি বেশি কনফিউজড হয়ে যান,গোশতই বলেন। No problem… #𝕛𝕚𝕙𝕒𝕕_𝕞𝕒𝕙𝕞𝕦𝕕 লিখকের ফেসবুক একাউন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন। লিখকের ফেসবুলিখকের ফেসবুক একাউন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

প্রসঙ্গ: আল্লাহর রাসূল ﷺ সামনে যেভাবে দেখতেন পিছনেও তেমনি দেখতেন।

ছবি
রাসুল ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা মানব হিসেবে যদিও প্রেরণ করেছেন তবুও তিনাকে এমন কতিপয় বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা প্রদান করেছেন যা অন্যান্য মানব থেকে আলাদা মর্যাদার অধিকারী বানিয়ে দিয়েছে। তেমনিভাবে, প্রত্যেক নবীকে যেমন দিয়েছেন মুজি'যা তেমনি প্রিয় নবীজিকেও দিয়েছেন অসংখ্য মুজিযা যা অন্যান্য নবিদের পর্যন্ত প্রদান করেননি।  সেহেতু ওনার একটি মুজিযা ছিল, "প্রিয় নবীজির সামনের এবং পিছনের দিক অবলোকন করা"। হাদীস শরীফে এসেছে_ রাসূল ﷺ বলেন: والله إني لأرى من خلفي كما أرى من بين يدي- অর্থাৎ "আল্লাহর শপথ নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনের দিকেও দেখি যেভাবে আমার সামনের দিকে দেখি"। (মুসনাদে আহমদ,হা-৯৭৯৬, সহিহ ইবনে খুজায়মা,হা-৬৬৪, মিশকাত,হা-৮৮১, মুস্তাদরাকে হাকেম,হা-৮৬১, জামেউল আহাদীস,হা-২৬২৩৫, কানযুল উম্মাল,হা-২০১০২) হাদিসের মান: সহিহ। ✿আহলে হাদিসদের (ওয়াহাবী-নজদীদের) শায়খ আলবানীও এটাকে শুদ্ধ বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আর তিনি বলেন_ "এটা রাসুল এর মর্যাদা এবং তার মু'জিযা"। (তাহকীকাতু মিশকাত:১/২৫৫) ✿দেওবন্দী শায়খ আল্লামা আশরাফ আলী থানবী সাহেব তার কিতাবের মধ্যে রাসূল ﷺ এর বৈশি...